Forest Trip - Why, when, How, Where, With whom?

Deep, close under the skin of a Forest Trip

***
A detailed discussion on forest tour, specially Tadoba. I'll highlight particularly on gypsy, guide, accommodation, dress code, mentality, preferred timing, budget etc in Bengali. If you have any question, please comment. I'll answer.

জঙ্গল ভ্রমণ

*****

Part - 1

তাড়োবা নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে প্রচুর ছবি ও লেখা আছে। আর আজকাল নেট ঘাঁটলে অনেক তথ্য পাওয়া যায় যদিও সেগুলো যে সব সময় সঠিক হয় তাও নয়। যে কোনো টাইগার রির্জাভে ঘুরতে গেলে দরকার ভালো পরিকল্পনা, বিশেষ করে নিখুঁত ব্যবস্হাপনা।

যে কোনো অরণ্য বা জঙ্গলে ঘুরতে গেলে ছয় থেকে আটমাস আগেই সলতে পাকানো শুরু করতে হবে। প্রাথমিক খোঁজ খবর তখন থেকেই শুরু করতে হবে। প্রাথমিক খোঁজ খবর সময় নিম্ন বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে........

1) যে জঙ্গলে যাবেন সেই জঙ্গল ভ্রমণের উদ্দেশ্য : মানে কেন যাবেন ?? কোনো র্নিদিষ্ট বন্যপ্রাণী দেখবার আশায় না এমনি নিছক বেড়াতে ?

2) দেখতে হবে কত সহজে সেই অরণ্যে পৌঁছানো যায়, যাতে জঙ্গল ভ্রমণে বেশী সময় দেওয়া যায়।

3) যে জঙ্গলে যাবেন ওই সময় ওই  জঙ্গলের আবহাওয়া । আপনার সাথে যারা যাবেন ওই আবহাওয়া মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা।

4) সাফারি বুকিং ---- এন্ট্রি গেট ও জোন অনুযায়ী ও কটা সাফারি করবেন।

5) গাইড ও জিপসি ড্রাইভার (সবচেয়ে VITAL)।

6) থাকবার জায়গা (খুব গুরত্বপূর্ণ) ।

7) জঙ্গল ভ্রমণের উপযুক্ত পোশাক ।

8) সাফারি চলাকালীন কি করব কি করব না ।

9) কিভাবে ছবি নেব বা তুলব ?

10) বাজেট ।।। very important part


এই কাজটা বেশ কঠিন কারণ অনেক সময় আমরা ঠিক করতে পারিনা যে কোন জঙ্গলটা আমাদের যাওয়া উচিত ? আর ও একটা বিষয় জঙ্গল ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন তা হল সঠিক ও উপযুক্ত সঙ্গী নির্বাচন। অনেকেই আছেন জঙ্গল পছন্দ করেন কিন্তু সঠিক সঙ্গী পান না আবার পেলেও সেই সঙ্গী মনোমত হন না। আবার অনেকের একদম সেট করা বন্ধুবান্ধব আছে যারা একডাকে জঙ্গলের টানে সারাবছর ই বেরিয়ে পড়েন।আবার এরকম ও দেখেছি অনেক উৎসাহী প্রকৃতি প্রেমিক বন্ধু যার জঙ্গলের প্রতি অসীম ভালোবাসা আছে তিনি কিছু জনকে জুটিয়ে জঙ্গলে নিয়ে গেলেন আর একটা চিতল হরিণ বা হনুমানের লেজ দেখিয়ে ফিরিয়ে এনে প্রচুর গালাগালি খেলেন : " এই তোর কথা শুনে এলাম কিছুই পেলাম না- পয়সা ফেরত দে " - এগুলো বেশী হয় টাইগার টূরে । ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে লোকজন জঙ্গলে গিয়ে বাঘ দেখতে না পেয়ে বা ভালো ছবি না পেয়ে এমন ভাবে মেজাজ হারিয়ে ফেলে, যে মনে হবে আপনি ওনাদের জঙ্গলে বাঘ দেখাতে নিয়ে এসে শতব্দীর সেরা অপরাধ করে ফেলেছেন। পয়সা খরচ করে জঙ্গলে এলেই যদি বনচর সহজলভ্য এবং সহজে দর্শণ পাওয়া যেত তাহলে প্রতিটা অরণ্য জু তে পরিণত হত আর জঙ্গল ভ্রমণের সেই আর্কষণ বা রোমাঞ্চকতা হারিয়ে যেত । যদি ও আজকাল অনেকেই যান বিনোদনের জন্য। অনেকেই আবার অদ্ভুত দাবী "নাইট সাফারির" জন্য । এবং অনেক রির্সট মালিক বা জাতীয় উদ্যান কতৃপক্ষ বাফার এরিয়া তে আজকাল নাইট সাফারি চালু করেছেন । ডুর্য়াস এ নাইট সাফারি তো পুরো ভুলভাল ব্যাপার । জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে জীপ এ দু তিনটে রাউন্ড দিয়ে ডবল টাকা। নীতিগত ভাবে আমি এর বিরোধী এবং অভিজ্ঞতায় দেখেছি এগুলো পয়সার অপচয় ছাড়া কিছু নয়। রাত্রিবেলা আপনার যেমন প্রাইভেসী দরকার এবং তা বিঘ্নিত হলে আপনার যেমন অসুবিধা হয় তেমনি বন্যপ্রাণীদেরও  হয় । এমনিতেই অতিরিক্ত টূরিজমের চাপে টাইগার রির্জাভ এর বন্যপ্রাণীদের নাভিশ্বাস অবস্হা। তাই সঙ্গী আর জঙ্গল বাছবার ক্ষেত্রে বেশ ভালো রকম হোম ওর্য়াক দরকার । কারণ বাজেট ও একটা factor কারণ আপনি যে বাজেট ভাবছেন তা অন্যজনের পক্ষে হয়ত ব্যায় করা সম্ভব নয়। তবে আমার মতে সেই ধরণের সহযোগী বাছুন যিনি কোনো প্রত্যাশা নয় জঙ্গল কে ভালোবেসে জঙ্গল ভ্রমণ এ আগ্রহী হবেন। এবার কিরকম জঙ্গল বাছবো ? সঙ্গে একটা leopard এর ছবি দিলাম । এইবার তাড়োবাতে তোলা । আমার এইবার নিয়ে 12 বার হল Tadoba ভ্রমণ। এর আগে ও দুই বার Tadoba তে Leopard পেয়েছিলাম কিন্তু ছবি নিতে পারিনি । এইবার প্রায় 30 মিনিট এই Leopard আমায় দর্শণ দিয়েছিল এবং এত কাছে ছিল যে আমি 200-500 লেন্স নিয়ে পুরো ফ্রেম এ Leopard টাকে ধরতে পারছিলাম না । আর মজা হল এই Leopard টা যখন দেখি টিপটিপ বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়া ।।।। এখানে প্রশ্ন আসবে

1) - Tadoba গেলেই কি লেপার্ড এর দেখা পাওয়া যাবে ? বা খুব ফ্রেকুয়েন্ট সাইটিং হয় কি  ?

Answer - Big no ..কিন্তু আবার  হতেও  পারে  .

2) লেপার্ড দেখবার  জন্য  কোন  জায়গা  বেস্ট  যেখানে  গেলে  লেপার্ড পাওয়া  যাবেই  ?

Answer - ইন্ডিয়ার যে কটা জায়গায় লেপার্ড  দেখা  যায়, তার লিস্ট দিলাম

  1. বেস্ট  হলো  - কাবিনি  ( নাগেরহোল ন্যাশনাল পার্ক যা লেপার্ড ও ব্ল্যাক  প্যান্থার এর জন্ ফেমাস । এখানে টাইগার এর থেকে লেপার্ড বেশি । )
  2. ঝালানা রিসার্ভ ফরেস্ট । জয়পুর  থেকে  20 km ।
  3. রাজস্থান  এর  "BERA" 
  4. পেঞ্চ  ন্যাশনাল  পার্ক ।

অনেকে  বলবেন  ডুয়ার্স  এর  জঙ্গল । কিন্তু  ডুয়ার্সে লেপার্ড সাইটিং জঙ্গল এর চেয়ে বেশি  চা  বাগানে হয় । ওয়াইল্ড  বা  ফরেস্টে খুব  কম  হয় ।

Part - 2 

আগের এপিসোড এ আলোচনা করেছিলাম সহযোগী র ব্যাপারে আজ আলোকপাত করব কোন ধরণের জঙ্গল সময় অনুযায়ী এ আমাদের বাছাই করা উচিত ?
এ প্রসঙ্গে প্রথমেই বলি প্রতিটা জঙ্গলের চরিত্র আলাদা । আগে দেখে নিতে হবে ঔই জঙ্গল টা ছানমিন করবার কি ব্যাবস্হা আছে ? মানে সেই জঙ্গলে ঘুরবার কি ব্যাবস্হা আছে ? জিপসি বা নিজের বা ভাড়া করা গাড়ী নিয়ে ঘুরতে হবে কিনা ? অনেক জঙ্গল আবার পাঁয়ে হেঁটে এ ঘোরা যায় আবার কিছু জঙ্গল আছে পুরো ট্রেক করে ঘুরতে হয়। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি পায়ে হেঁটে অরণ্য ভ্রমণ আর ট্রেক করে জঙ্গল ভ্রমণ দুটো পুরো আলাদা। একটা উদাহরণ দিই আমাদের উত্তরবঙ্গের Neora Valley National Park , Arunachal এর Namdapha ( যার 10% ও এখনো exolore হয়নি, Sikkim এর Varsey Rhododrendan sanctuary ও Kancganjunga national Park এইসব জঙ্গল গুলো ট্রেক করেই ঘুরতে হবে । আবার অনেক জঙ্গলে জীপসি বা নিজস্ব বাহন নিয়ে প্রবেশ করা যায় । জিপসী ছাড়া ও সেই সব জঙ্গলের কিছুটা অংশ পায়ে হেঁটে ঘোরা যায় যাকে আমরা বলি " Nature Trail" যেমন অসমের Nameri ( অসাধারণ জঙ্গল )  কোনো জঙ্গলে যদি Nature Trail এর সুযোগ থাকে তাহলে একটা দিন বা একটা বেলা রাখুন ওই Nature trail এর জন্য । আমি Kanha , Manas , Panna তে জিপসী এবং nature trail দুটোই করেছি । পায়ে হেঁটে জঙ্গলের সাথে নিজেকে যতটা সমৃদ্ব করা যায় বা জঙ্গল টা চেনা যায় তা অন্য কোনো মাধ্যমে অনুভব করা শক্ত।

এবার আসি কোন জঙ্গল কিভাবে পরিকল্পনা করব ? উদাহরণ স্বরুপ কাজিরাঙ্গা আগে নভেম্বর মাস থেকে মার্চ অবধি খোলা থাকত এখন অক্টোবর থেকে মে অবধি খোলা থাকে । এইবার প্রশ্ন তাহলে কখন যাবো ? অনেকে এ এই গ্রুপে প্রশ্ন করেন পূজোর সময় Kaziranga খোলা কিনা ? আসলে অসমের বন্যা Kaziranga জাতীয় উদ্যানের পক্ষে আর্শীবাদ এবং অভিশাপ দুটোই ... কোনোদিন যদি সুযোগ পাই এই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করব.... । এতক্ষণ অনেকটা বোর করেছি। মূল প্রশ্ন হল তাহলে কখন যাবো ? আমার মতে মিড জানুয়ারী থেকে মার্চ এর মিড অবধি খুব ভালো সময় । কারণ বন্যার জন্য অক্টোবর থেকে নভেম্বর শেষ অবধি পুরো পার্ক এক্সেস ( এ আমি এক্সেস কথাটাই ব্যবহার করলাম ) করা যায় না । আর কাজিরাঙ্গা ঘাস ও খুব বড় থাকে জানুয়ারী প্রথম সপ্তাহ অবধি তাই বন্যপ্রাণী দর্শণ সম্ভব হলে কাজিরাঙ্গার বিস্তীর্ণ ল্যন্ডস্কেপ আর তার বিশাল জীব বৈচিত্র্য ভান্ডার explore করা সম্ভব হয় না । ভারতবর্ষের বেশীরভাগ জঙ্গল ভ্রমণের সুবাদে বলতে পারি কাজিরাঙ্গার মত এত জীব বৈচিত্র্য কোনো জঙ্গলে নেই । পরিযায়ী পাখি থেকে শুরু করে সব ধরণের বন্যপ্রাণী এই জঙ্গলে পাওয়া যায় এমনকি বিপন্ন প্রজাতির Hullock Gibbon ও swamp deer বা বারাশিঙ্গা এমন কি বাঘের ও । এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলি কাজিরাঙ্গা ছাড়া এই বারাশিঙা Kanha national park ও দেখা যায়। এইবার প্রশ্ন :

1) আমায় যদি swamp deer এবং Tiger দেখতে যেতে হয় তাহলে আমি কাকে আগে রাখব ? 
উত্তর - Kanha national park কারণ Tiger ও Swamp deer বা বারাশিঙ্গা কাজিরাঙ্গার তুলনায় Kanha te সংখ্যায় অনেক বেশী সেই কারণে sighting বা দর্শণ এর চান্স ও বেশী। জঙ্গল ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে এই chance factor or sighting প্যরামিটার মাথায় রাখতে হবে। যারা প্রকৃতি প্রেমিক বা প্রথম কোনো জঙ্গল এর স্বাদ নিতে চান তারা ডুর্য়াস বা কাজিরাঙা দিয়ে শুরু করুন বিশেষত ছোট্ট বাচ্চা থাকলে । অনেকেই বলবেন প্রথমেই Why not Kanha; Bandhavgarh or Ranathombore ?????
পরের পর্বে........
সঙ্গে একটা Sloth bear এর ছবি দিলাম এইবার Tadoba তে তোলা। এখানে প্রশ্ন

2) Sloth bear কি নিয়মিত তাড়োবা তে দেখা যায়? ভারতের আর কোন জঙ্গলে Sloth beer দেখা যায় ?
উত্তর - তাড়োবা তে নিয়মিত না হলেও মাঝে মাঝে শ্লথ বিয়ার ভালোই দেখা যায় সকালে আদর্শ টাইম

শ্লথ বেয়ার এর জন্ আদর্শ বা বেস্ট হলো কর্ণাটক এর Daroji
এ ছাড়া সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ার সমস্ত জঙ্গল ও সাতপুরাতেও ভালো দেখা যায়  .
কিন্তু যদি কেউ শ্লথ বেয়ার এর প্ল্যান করে তাহলে দারোজি হলো বেস্ট

Part - 3 

 1) তাহলে ছোটোদের নিয়ে কিরকম জঙ্গল ঘুরব ?
উত্তর - যে সব বন্যপ্রাণী ছোটদের পছন্দ যেমন - হাতি , গন্ডার , ইন্ডিয়ান গউর , মূয়র ইত্যাদি । এগুলো দিয়ে শুরু করুন। এর সুবিধা হল আস্তে আস্তে জঙ্গল টা চিনতে ও বুঝতে শিখবে । আর প্রত্যেক টা সাফারির শেষে আপনার বাচ্চাকে নোট নিতে বা ডায়েরীতে লিখতে বলুন কি কি বন্যপ্রাণী কোন কোন জোন বা কোন জায়গায় দেখল । যদি দুটো জোন এ গিয়ে থাকে কোন জোন টা ভালো লেগেছে ?

2) টাইগার রির্জাভ গুলো কি ছোটোদের নিয়ে যাওয়া যাবে না ?

উত্তর - এটা অনেক বিষয়ের ওপর ডিপেন্ড করে। কিন্তু সামার বা উইন্টার যে কোনো সময়ে ছোটোদের নিয়ে সাফারি করা চাপ। কারণ সকালবেলা চার সাড়ে চার ঘন্টা ও বিকেলবেলা তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা সাফারি করা টা খুব চাপের। শিশুদের নিয়ে গেলে নভেম্বর থেকে মার্চ বেশ ভালো সময় । যদিও এ বছর এপ্রিলে তিন বছরের কম বয়সী একটি শিশু আমার সাথে হিলে থেকে বার্সে এই সাড়ে চার কিমি আপ ডাউন পথ পুরোটাই ট্রেক করেছে । যদি ও আট থেকে দশ বছর না হলে মধ্যভারতের জঙ্গল গুলো বেশ চাপের ।

3) লোকজনের কাছে শুনেছি সামার বাঘ বেশী দেখা যায় ? 

উত্তর - সামার হয়ত সম্ভাবনা বেশী কিন্তু যে কোনো সিজনেই বাঘ দেখা যায়। শীতকালে ও ভালো সাইটিং হয়।
আমি আমার আগের পোস্ট এ দারোজি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম । উত্তর কর্ণাটকের হসপেট অঞ্চলের পাথুরে অরণ্যের মধ্যদিয়ে চলে যাওয়া তুঙ্গভ্রদা নদী । নদীর তীরে একদিকে ঐতিহ্যময় ঐতিহাসিক বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী হাম্পি আর অন্যদিকে বয়ে চলা তুঙ্গভদ্রা নদী এই দুইয়ের মধ্য দিয়ে প্রায় নব্বই বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত দারোজির অরণ্য । স্লথ ভাল্লুকদের জন্য সংরক্ষিত ভারতের প্রথম অভয়ারণ্য। হাম্পি বেড়াতে গেলে একটা দিন রাখা যেতে পারে এই অভয়ারণ্যের জন্য। স্হানীয়দের কাছে এ জঙ্গল "কারাডির" জঙ্গল নামে পরিচিত কারণ স্লথ ভাল্লুককে এখানকার স্হানীয় অধিবাসীরা কারাডি নামেই ডাকে। এই প্রসঙ্গে একটা ছোট্ট টিপস হল কোনো জঙ্গলে গিয়ে পাখী বা বন্যপ্রীণীর স্হানীয় নাম জানা থাকলে খুব সুবিধা হয়। কথিত হাম্পির অনতিদূরে তুঙ্গভ্রদা নদীর তীরে রামায়ণে বর্ণিত বানর রাজা বালী ও সুগ্রীব রাজ্য কিস্কিন্ধ্যা। আজকাল শিশুদের মধ্য কতজন আর হ্যারি পটার ছেড়ে রামায়ণ বা ঠাকুরমার ঝুলি পড়ে এটা একটা সমীক্ষার বিষয়। ছোটোদের নিয়ে এই ধরণের ইতিহাস বিজড়িত স্হান এবং অরণ্য ভ্রমণ খুব ভালো ট্যুর হয় । আমি যখন ক্লাস এইট বা নাইন এ পড়ি তখন রবিবার টিভিতে রামায়ণ দেখাত । রবিবার সবাই টিভির সামনে । তখন সবাইয়ের বাড়ীতে টিভি ছিল না । যাদের ছিল তাদের বাড়ীর সামনে ওই সময় পড়শীদের ভীড় লেগে যেত। কত সুন্দর সুন্দর অনুষ্টান হত সেই সময় - যেমন প্রণয় রায় এর India This week . এখন এত মিডিয়া, এত চ্যানেল তবু ওই ধরণের অনুষ্টান চোখে পড়ে না । শুধু স্লথ বিয়ার নয় এই অরণ্যে লের্পাড, চিতল , বিভিন্ন প্রজাতির পাখী বিশেষত painted sangrouse . Indian eagle owl, striped mangoose এবং বিপন্ন প্রজাতির Yellow throated sparrow ও দেখা যায়। অনেকেই হাম্পি যান কিন্তু দারোজী যান না স্লথ বিয়ার যদি ও সহজে দেখা
যায় ঠিক ততটাই কঠিন হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার এর ছবি তোলা । আসলে জঙ্গলে গিয়ে বাঘের ছবি তুললে নিজেকে যতটা এলিট তকমা পাওয়া যায় ভাল্লুক বা কাকঁড়া বিছের ছবি তুললে তা পাওয়া যায় না অথচ একটা 1200 বর্গকিমির জঙ্গলে এই কাকঁড়া বিছে টা যার দৃষ্টিতে বন্দী সেই কি প্রকৃত অরণ্যচারী ?



Part - 4

Zoo and Nature interpretation centre Kanha

*****
এই সিরিজ টা লেখা শুরু করেছিলাম অন্যভাবে । কিন্তু লিখতে গিয়ে একটু অন্য প্রসঙ্গ চলে এল। সেগুলো আলোচনা করতে গিয়ে মূল বিষয়টা একটু পেছন দিকে। ছোটোদের নিয়ে আলোচনার পর্ব টা এই পর্বে শেষ করে পরর্বতী পর্বে মূল জঙ্গল নিয়ে আলোচনায় আসব।

ছোটদের ক্ষেত্রে জঙ্গল ছাড়া বন্যপ্রাণীদের সর্ম্পকে প্রাথমিক পরিচ্য় এর কাজ টা হয়ে যায় zoo বা Nature interpretetion centre বা প্রকৃত বীক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে। আমি প্রথমবার যখন KANHA এর জঙ্গলে যাই তখন KANHA Zone এ KANHA NATURE INTERPRETETION CENTRE দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এরকম আর্ন্তজাতিক মানের মিউজিয়াম বা Nature Interpretetion centre আমি ভারতবর্ষের অন্য কোনো জঙ্গলে দেখিনি। আপনারা যদি কানহা জঙ্গলে যান KANHA zone এই Nature interpretetion centre টা অবশ্যই দেখবেন বিশেষ করে ছোটোরা থাকলে ওদের অতি অবশ্য নিয়ে যাবেন। যেমন Deer বা Antelope দুটোই একই প্রজাতি হলেও এদের মধ্য পার্থক্য আছে । এই পার্থক্য হয়ত বই ঘেঁটে বা নেট সার্চ করে পাওয়া যাবে কিন্তু এদের মাথা বা শিং এর গঠনের বা মাথার খুলির গঠনে কি পার্থক্য সেটার জন্য ঔই Nature interpretetion centre a যেতে হবে। এছাড়া ছোটো বাচ্চাদের নিয়ে zoo ভ্রমণ ও বেশ ভালো যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমি জু বা চিড়িয়াখানা ভ্রমণ কে খুব একটা সমর্থন করি না। কিন্তু ছোটোদের নিয়ে জু তে ভ্রমণ অনেকটাই শিক্ষামূলক। বন্যপ্রাণীদের যে সংরক্ষণ কার্যক্রম চলে তাকে আমরা মূলত দুই ভাগে ভাগ করি যথাক্রমে "Ex-Situ" ও " In Situ" । " Ex Situ" conservation model হল কোনো বিপন্ন প্রজাতি মানে যাদের মূলত Natural habitat এর বাইরে গিয়ে ব্রিডিং বা প্রজনন করা হয় বা গবেষণার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় এই ধারণা থেকেই তৈরি হয় zoo ; aquarium, বা অনেকটা জায়গা জুড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি ওপেন এনক্লোজার যেমন ঝড়খালি , সাউথ খয়েরবাড়ী এগুলো হল Ex situ conservation model . আর In Situ conservation আমাদের জঙ্গল বা অরণ্য এর মধ্যেই হয়। যাই হোক বন্যপ্রাণী সর্ম্পকে ছোটদের প্রাথমিক ধারণা বা পরিচিতি যেহেতু চিড়িয়াখানাতেই হয় তাই ভারতবর্ষের যে যে শহরে বেড়াতে যাবেন কিছুটা সময় রাখবেন এই জু এর জন্য। এমনিতে পুরী গেলে নন্দনকানন বা দার্জিলিং গেলে আমরা চিড়িয়াখানা যাই। দার্জিলিং গেলে জু টা একবার দেখবেন। বৃহস্পতিবার বাদে সব দিন খোলা থাকে। চিড়িয়াখানার জন্ম চীন , মধ্যপ্রাচ্য ও রোম হলেও পৃথিবীর সব দেশে বা সব বড় শহরে চিড়িয়াখানা আছে। 

 ভারতে মহীশূর জু (বেশ ভালো এবং ভারতের অন্যতম সেরা জু), গৌহাটি জু, নৈনিতাল জু, হায়দরাবাদ জু বেশ ভালো। বন্যপ্রাণ প্রেমীদের অনেকেই মনে করেন যে বন্যদের বন্দীদশায় রাখাটা অমানবিক। গবেষণায় দেখা গেছে বন্দি দশায় বংশবৃদ্বির সময় একই পরিবারে বন্যদের মিলনে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেত্রে নানারকম অস্বাভাবিক শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। অরণ্য পরিবেশ বঞ্চিত স্বাধীনতার অভাব তাদের প্রচন্ড কৃত্তিম করে তোলে এবং তাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় , তার ওপর এই প্রাণীগুলোর ওপর আমাদের দেশের অর্ধশিক্ষিত দর্শকদের প্রবল অত্যাচার কখনো কাঠি দিয়ে খোঁচানো, খাবার ছুড়ে দেওয়া , নানারকম ফন্দি ফিকির করে এনক্লোজার থেকে বার করে ছবি তোলার , এখন তো আবার সেলফি তোলার অছিলায় বন্যপ্রাণীদের ওপর নির্যাতন করা এগুলো ভারতবর্ষের বিভিন্ন চিড়িয়াখানার নিত্যনৈমিত্তিক দৃশ্য। কিন্তু একটু গভীরে তলিয়ে দেখলে দেখতে পাব যে এই জু এর অস্তিত্ব না থাকলে চিতা, ক্যাঙারু, জাগুয়ার ভারতে, বাঘ আমেরিকা বা জাপানে দেখা যাবে না। আবার কোনো বন্যপ্রাণী গুরতর আঘাত পেলে তখন শুশ্রষা বা পরিচর্যার জন্য জু এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য নাহলে অনেক বন্যপ্রাণী আজ বিলুপ্ত হয়ে যেত। 
********
ভারতের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্হিত কোন জু ? উত্তর - জি বি পন্হ জু নৈনিতাল।
অবশ্যই দেখবেন হিমালয়ান ব্ল্যাকবীয়ার




Comments

Unknown said…
মনের মতো টপিক লিখছেন দাদা,অসংখ্য ধন্যবাদ।
P Saha said…
Awesome presentation. Hats off dada
Unknown said…
অসাধারণ বললেও কম বলা হয় দাদা। আরো অনেক অনেক লিখুন জঙ্গল নিয়ে।অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের
Unknown said…
very good info. never read anything like this. thanx
Dipankar Roy said…
Thanks a lot :)
Subhankar Paul said…
খুব কমপ্রিহেনসিভ লেখা । জরুরী সব ডিটেইলস আছে কমপ্যাক্ট ফরম্যাটে। সেভ করে রাখলাম।
অভিনন্দন।